মিয়ানমারের বিতর্কিত নেত্রী অং সান সুচি গ্রেফতারের পর সারাবিশ্বের মতো আলোচনার ঝড় বইছে কানাডাতেও। কারণ, ২০০৭ সালে তাঁকে যে সম্মানসূচক কানাডীয় নাগরিকত্ব প্রদান করেছিল দেশটি। তবে তার অমানবিক আচরণের জন্য তা ২০১৮ সালে প্রত্যাহার করে নেয় কানাডা।
সুচির নাগরিকত্ব বাতিল করার আগে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধের জন্য প্রথমে সুচিকে ফোন করেন কানাডার প্রধান মন্ত্রী জাস্টিন ট্টুডো , পরে সুচিকে ব্যক্তিগত ভাবে দেয়া এক বার্তায় তিনি লিখেন, আপনি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হয়ে বহি:বিশ্বে সম্মান পেয়েছেন, আপনি একজন সম্মানজনক কানাডিয়ান। তারপরও মিয়ানমারের শক্তিশালী সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের হত্যা নির্যাতন, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, চার লাখ মানুষকে জবরদস্তিমূলক বাংলাদেশে বিতাড়িত করার মতো নিষ্ঠুর নিপীড়নের মুখে আপনার ক্রমাগত নীরবতা আপনার সাথী কানাডিয়ানরা গভীর বিস্মিত, হতাশ এবং অত্যন্ত বেদনাক্রান্ত। তাই আপনার কাছে অনুরোধ, রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করে তাদের পাশে দাঁড়ান এবং মিয়ানমারকে একটি জাতিগত বিভক্তি থেকে রক্ষা করুন।
কিন্তু জাস্টিন ট্টুডোর দেয়া বার্তাকে পাত্তাই দেন নি অং সান সুচি তা। অতঃপর তাঁর সম্মানসূচক কানাডিয়ান নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের বিষয়টি কানাডার হাউস অব কমন্সে প্রস্তাব পাস হলে সিনেটে ভোটাভুটির পর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষেও তা প্রত্যাহারের বিষয়টি একবাক্যে সবাই সমর্থন দেন। সেই সাথে মিয়ানমারের সেনা প্রধান সামরিক জান্তাকেও কানাডায় নিষিদ্ধ করা হয়।
অক্সফোর্ডসহ ব্রিটেনের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশ তাঁকে দেয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কানাডা এ পর্যন্ত যাঁদের সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদান করেছে তারা হলেন- রাউল ওয়ালেনবার্গ, নেলসন ম্যান্ডেলা, দালাই লামা, আগা খান এবং মালালা ইউসুফজাই।