নিজস্ব প্রতিনিধি: অমর একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ব্যাপক উৎসাহের মধ্য দিয়ে গ্রিসে পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
দিবসটি পালনের জন্য দূতাবাস দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করেছে। গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের সূচনা হয়। এ সময় গ্রিসের বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত হয়ে শহীদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দূতাবাস প্রাঙ্গণে মহান একুশের ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও বিশেষ আলোচনা হয়। এ সময় দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পড়ে শোনানো হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নির্ভর একটি প্রামাণ্যচিত্র ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ভাষা আন্দোলন’ প্রদর্শন করা হয়।
দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব রাবেয়া বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা মহান একুশের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একযোগে দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল চেতনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমদ তার বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সাথে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের অমূল্য ভূমিকা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশির প্রাথমিক উদ্যোগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ ও ঐকান্তিক চেষ্টা ও পৃষ্ঠপোষকতার ফলে অমর একুশে আজ বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
এ সময়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তিনি ভাষা আন্দোলনের চেতনা প্রবাসে পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আলোচনাপর্বে গ্রিসে বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আঞ্চলিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রবাসী নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। রাষ্ট্রদূত আয়োজিত অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।